ইন্টার্ন গাইডলাইন পর্ব-১ | Arif's Medical Blog

ইন্টার্ন গাইডলাইন পর্ব-১

ফাইনাল প্রফে যারা পাশ করেছো, congratulations!!!!

এখন থেকে তোমার এখন ফুল ফোকাস হবে ইন্টার্নশিপ। এখানে যে যত ফাঁকি কম দিবে, দক্ষতা এবং কনফিডেন্স বিবেচনায় সে ততবেশি লাভবান হবে। এর জন্যে অগ্রীম প্রস্তুতি নেয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। নিলেও খুব বেশি লাভ হবে না। ইন্টার্নশিপ হলো learning by training। সুতরাং তুমি সব শিখবে এই ট্রেইনিংয়ে। কীভাবে কী করতে হবে সবকিছু তোমরা এমনিতেই বুঝে যাবে।

ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে জানতে এমনি তোমরা ব্যাগে-

Diary of intern life (ম্যানেজমেন্টের জন্যে আমি প্রেফার করিনা। তবে বেশকিছু প্রোসিডিউর এবং হাসপাতাল সম্পর্কিত নিয়মকানুন এখানে ভালো দেয়া আছে।)

Master the ward (এখানে প্রিলিমিনারি ম্যানেজমেন্টগুলো কিছুটা ভালো। এখান থেকে অনেককিছু আয়ত্ত্ব করতে পারো।)

Management guideline of medical disease by Dr. Ratin Mondal (যারা ম্যানেজমেন্ট আরেকটু ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে চাও)

এবং ফোনে-

GP master (পকেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ)

Super infusion calculator (ড্রিপ ক্যালকুলেশনের জন্যে খুবই ভালো)

MedEx (আমি একে DIMS এর থেকেও অনেক বেটার মনে করি)

EDD- EGA calculator (আমার মতো যারা মানসাঙ্কে কাঁচা, তাদের জন্যে গাইনীতে কাজে লাগবে)

এই অ্যাপগুলো রাখতে পারো। আমি পার্সোনালি আরও অনেক বই এবং অ্যাপ ফলো করতাম। একটা ফিক্সড কিছু ফলো করিনি। কোনোদিনও ফিক্সড ধরিওনি। একেকটা ম্যাটেরিয়াল একেকটা জায়গায় ভালো। এরপর সবকিছু কম্পাইল করে নিজে গাইডলাইন বানানোর চেষ্টা করতাম। সেগুলো বলে তোমাদের জার্নিটাকে কমপ্লিকেটেড আর কঠিন করে দিতে চাচ্ছি না।   


তবে এর আগেও তোমার প্রথম কাজ হলো নিজের অ্যাপিয়ারেন্সে মনোযোগ দেয়া। তুমি এখন ডাক্তার, স্টুডেন্ট না। সুতরাং এখন থেকেই তোমাকে প্রোফেশনালিজমে মনোযোগ দিতে হবে। স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায়, হাসপাতালের ওয়ার্ডে যেভাবে চলাফেরা করেছো, এখন সেভাবে চলা যাবে না। প্রোপার ড্রেসকোড মেইন্টেইন করা অনেক জরুরি।  

এমন ড্রেসকোড (স্যান্ডেল, পোলো টি শার্ট) ফলো করা কখনোই উচিত না, যার কারণে পেশেন্ট পার্টিরা ডাক্তার হিসেবেই কন্সিডার করতে চাইবে না। সুতরাং ড্রেসকোডে অনেক বেশি মনোযোগ দিবে।  


ইন্টার্নশিপ চলাকালে নিজের কাছে সর্বদা যে ইন্সট্রুমেন্টগুলো একদম ফরজ হিসেবে কিনে রাখার চেষ্টা করবে-

Stethoscope

Sphygmomanometer

Pulse oximeter

Torch

Percussion hammer

আমি আরও যে ইন্সটুমেন্টগুলো সবসময় নিজের কাছে রাখতাম-

Glucometer (সাথে কিছু স্ট্রিপ। ইমার্জেন্সি হলে নিজ থেকে স্ট্রিপ ইউজ করে পরে পেশেন্টদের দিয়ে কিনিয়ে নিতাম)

Tongue depressor

Thermometer

Otoscope (Ophthalmoscope কিনার পয়সা থাকলে কিনে ফেলতাম)

Slip pad (কুইক অর্ডার দেয়ার জন্যে)

Micropore tape

20G এবং 22G IV cannula (সরকারি হাসপাতালে এই ছোট ক্যানুলাগুলো সাধারণত সাপ্লাই তে থাকেনা। ইমার্জেন্সি কন্ডিশনে পেশেন্ট পার্টির কিনে আনতে লেইট হতে পারে মনে হলে ইউজ করে এরপর পেশেন্টদের টা পরে নিয়ে নিতাম।) etc

এরকম আরও ৭-৮টা ইমার্জেন্সি আইটেম একদম হাতের নাগালে রাখতাম।

এগুলোর সবকিছু একদম ম্যান্ডেটরি কিছু না হলেও আমি সবসময় আমার ছোট ব্যাগে মেইন্টেইন করতাম। এর অনেককিছু হাসপাতালে অ্যাভেইলেবল থাকলেও আমি পার্সোনালি নিজের সাথেই রাখতাম।

এসব আমি পেশেন্টের লাইফসেভিংয়ের জন্যে সবসময় ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে দেখেছি। ট্রাস্ট মি! আমার একটা ইনভেস্টমেন্টও বৃথা যায়নি। এমনও হয়েছে যে, কলিগ ছাড়াও সিনিয়র এমনকি প্রফেসর স্যারও আমার কাছ থেকে ইমার্জেন্সিভাবে ইন্সট্রুমেন্ট নিতেন। সুতরাং চেষ্টা করবে অন্তত ম্যান্ডেটরি ইন্সট্রুমেন্টগুলো নিজে কিনে সবসময়ে নিজের কাছে রাখার। 


WiseMed Academy (Psychiatry)

Post a Comment

Previous Post Next Post