ইন্টার্ন গাইডলাইন পর্ব-২ | Arif's Medical Blog

ইন্টার্ন গাইডলাইন পর্ব-২

মেডিসিন সার্জারি গাইনী যেখান থেকেই ইন্টার্নশিপের প্লেইসমেন্ট শুরু হউক না কেন, প্রথম ২সপ্তাহ বা ২ অ্যাডমিশন পর্যন্ত সবকিছু অগোছালো মনে হবে৷ ওভারহোয়েল্মিং লাগবে। এতে মোটেও বিচলিত হওয়া যাবে না। এই সময়টাই minimum mandatory time for adjustment। তাই, নিজেকে অ্যাডজাস্ট করতে সময় নাও। অ্যাডজাস্ট করতে অনেক বেশি অসুবিধা হলে তোমার সিনিয়রদের হেল্প নাও। 

এই সময়টাতে আগে হাসপাতালের ওভারঅল সিস্টেমগুলো আয়ত্ত্ব করবে। হাসপাতাল সম্পর্কে ওরিয়েন্টেড হবে। হাসপাতালে কী কী ডিপার্টমেন্ট কোথায় কোথায় আছে, কোন কোন ডিপার্টমেন্টের আউটডোর এবং ইন্ডোর সার্ভিস আছে এগুলো জানতে হবে।

এরপর- 
পেশেন্ট কোথা থেকে রেফার হয়ে আসে
আউটডোর বা ইমার্জেন্সি থেকে কীভাবে আসে
পেশেন্ট কীভাবে ভর্তি হয় বা দিতে হয়
ভর্তির পর কী কী করতে হয়
কীভাবে প্রোপারলি পেশেন্ট ফলোআপ দিতে হয়
কীভাবে ইনভেস্টিগেশন দিতে হয়
কী কী ইনভেস্টিগেশন হাসপাতালের কোথায় কোথায় হয়
একদম বেসিক ইনভেস্টিগেশনের খরচের মোটামুটি রেইঞ্জ
ছুটির কাগজ কীভাবে লিখতে হয়

এগুলো তুমি সময় নিয়ে ভালোভাবে জেনে নিবে। হাসপাতাল এবং পেশেন্ট পার্টি দুই পার্স্পেক্টিভ থেকেই জানবে।

আমার সময় আমি শুরুর দিকে পেশেন্টের খোঁজখবর নিতে নিতে পেশেন্ট পার্টিকে আস্ক করতাম তারা কীভাবে এখানে এসেছেন, কোথায় গিয়ে কীভাবে কীভাবে কী করেছেন। করতে গিয়ে কী কী ঝামেলায় পড়েছেন।
এতে করে আমি খুব সহজেই বুঝতে পারতাম যে পেশেন্টপার্টির মূল হয়রানীর জায়গা গুলো বুঝতে পারতাম। এরপর সে অনুসারে আমার পরবর্তী পেশেন্ট পার্টিকে কীভাবে কী করতে হয় সবকিছু লাইন বাই লাইন বুঝিয়ে দিতাম। এতে পেশেন্ট পার্টিরা অযাচিত হয়রানী হওয়া থেকে বেঁচে যেতেন। 

তোমার অন্যান্য ডিপার্টমেন্টে থাকা কলিগদের সাথে কানেক্টেড থাকবে। কে কোথায় আছে কার কখন রোস্টার ডিউটি এসব তোমাদের নিজস্ব গ্রুপের মাধ্যমে খোঁজ রাখবে। ইন্টার্নাল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম তৈরি করা খুবই জরুরি ইন্টার্নশিপের সময়টাতে।

Post a Comment

Previous Post Next Post